সোহাগ মিয়াজী :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফাহিমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের জামমুড়া গ্রামের ওয়াসিম আক্রামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ী জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ফাহিমার স্বামী ওয়াসিম ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাহিমা বাবার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য স্বামীর অনুমতি চায়। কিন্তু লকডাউনে চাকুরী ছেয়ে বাড়িতে দীর্ঘ তিন মাস বেকার থাকায় আর্থিক অনটনের কারণে তাকে বাবার বাড়িতে যাইতে নিষেধ করে স্বামী ওয়াসিম। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ওয়াসিম ঘর থেকে বেরিয়ে গোয়াল ঘরে গিয়ে কাজ করতে থাকে। প্রায় দুই ঘন্টা পর এসে দেখে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখে ভূতুরের সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে ফাহিমা। তার শোরচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে। পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যর ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানায়
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেন লিটন জানান, পরিবারের লোকজন ফাহিমাকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঘরের ভূতুরের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে ফাহিমা আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। ফাহিমা আক্তারের স্বামী ঢাকায় একটি কম্পিউটার দোকানে চাকুরী করে। ইরফান হোসেন নামে ৯ মাস বয়সের তার একটি পুত্র সন্তান আছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূর আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় অপমৃত মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।